You dont have javascript enabled! Please enable it!

HSC BANGLA 1ST – RAINCOTE – SHORT QUES & ONUDHABON

টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস

 ক   জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

১.            ‘রেইনকোট’ গল্পটির রচয়িতা কে?

                উত্তর      : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।

২.            আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

                উত্তর      : ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

৩.           আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?

                উত্তর      : গোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

৪.            ইসহাক কোন বিষয়ের প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো?

                উত্তর      : জিওগ্রাফির প্রফেসরের বাড়ির দিকে রওনা হলো।

৫.            কাকে দেখে কলেজের সবাই তটস্থ?

                উত্তর      : ইসহাক মিয়াকে দেখে।

৬.           কোন মাসের শুরু থেকে ইসহাক বাংলা বলা ছেড়ে দিয়েছে?

                উত্তর      : এপ্রিল মাসের শুরু।

৭.            কে দিনরাত উর্দু বলে?

                উত্তর      : ইসহাক মিয়া।

৮.           কে পাকিস্তানিদের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ছে?

                উত্তর      : কলেজের প্রিন্সিপাল।

৯.            আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?

                উত্তর      : আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস।

১০.         আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

                উত্তর      : ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

১১.         কাকে জড়িয়ে ধরে নুরুল হুদার চুমু খেতে ইচ্ছা করছে?

                উত্তর      : পিওনকে।

১২.          রেডিও, টেলিভিশনে হরদম কী বলছে?

                উত্তর      : হরদম বলছে সিচ্যুয়েশন নর্মাল।

১৩.        নুরুল হুদার স্ত্রীর নাম কী?

                উত্তর      : আসমা।

১৪.         ‘মিন্টু কার ভাই?

                উত্তর      : আসমার ভাই।

১৫.         কার জন্য নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয়?

                উত্তর      : মিন্টুর জন্য।

১৬.        নুরুল হুদা কতবার বাড়ি পাল্টায়?

                উত্তর      : চারবার বাড়ি পাল্টায়।

১৭.          নুরুল হুদার মেয়ের বয়স কত?

                উত্তর      : আড়াই বছর।

১৮.        নুরুল হুদার ছেলের বয়স কত?        

                উত্তর      : পাঁচ বছর।

১৯.         কোথাকার হাফের বেশি জায়গা স্বাধীন?

                উত্তর      : রংপুর-দিনাজপুরের হাফের বেশি জায়গা স্বাধীন।

২০.         মসজিদের ছাদ থেকে কে পড়ে গিয়েছিল?

                উত্তর      : মুয়াজ্জিন সাহেব পড়ে গিয়েছিল।

২১.          কে জুমার নামাজটা নিয়মিত পড়ে? 

                উত্তর      : নুরুল হুদা।

২২.          নুরুল হুদা কোন বিষয়ের লেকচারার?

                উত্তর      : নুরুল হুদা কেমিস্ট্রির লেকচারার।

২৩.         উর্দুর প্রফেসরের নাম কী?

                উত্তর      : উর্দুর প্রফেসরের নাম আকবর সাজিদ।

২৪.          কাদের ঠিকানা নুরুল হুদার জানা আছে?

                উত্তর      : মিসক্রিয়ান্টদের।

২৫.         ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দের অর্থ কী?

                উত্তর      : দুষ্কৃতিকারী।

২৬.         আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ কোনটি?

                উত্তর      : ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’।

২৭.          ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে?

                উত্তর      : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।

২৮.        ‘রেইনকোট’ গল্পের কথক কে?

                উত্তর      : নুরুল হুদা।

২৯.         ‘রেইনকোট’ গল্পের রেইনকোটটি কার?

                উত্তর      : রেইনকোটটি মিন্টুর।

৩০.        নুরুল হুদাকে কে ডেকে পাঠিয়েছে?

                উত্তর      : প্রিন্সিপাল ডেকে পাঠিয়েছে।

 খ            অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

১.            ‘ক্যাপ্টেনের এদিকে তাকে ঠেলা মুশকিল’- কেন?

                উত্তর : ‘ক্যাপ্টেনের এদিকে তাকে ঠেলা মুশকিল’- মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসহাক মিয়ার দাপট খুব বেশি বেড়ে যাওয়ায় এ কথা বলা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসহাক মিয়া পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করায় তার দাপট খুব বেড়ে গিয়েছিল। সে নিজেকে কর্নেলের মতো ক্ষমতাবান ভাবতে শুরু করে। তাই তাকে কর্নেল বা লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা ক্যাপ্টেন ভাবা যায়। কিন্তু ক্যাপ্টেনের নিচের পদে তাকে ভাবা যায় না।

২.            নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয় কেন?

                উত্তর : মিন্টু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছে বলে নুরুল হুদাকে এক্সট্টা তটস্থ থাকতে হয়।

নুরুল হুদা অত্যন্ত ভীরু প্রকৃতির মানুষ। সে দেশকে খুব ভালোবাসে কিন্তু ভয়ে প্রকাশ করতে পারে না। তাই তার শালা মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধাএকথা ‘হানাদার’ বাহিনী জানতে পারলে তাকে খুব বিপদে পড়তে হবে, এই ভয়ে সে সবসময় তটস্থ থাকে।

৩.           ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়েছে?

                উত্তর : ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝাতে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

 ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দের আভিধানিক অর্থ দুষ্কৃতিকারী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার ও তার সেনাবাহিনী এ শব্দটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছে। আর এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে ‘রেইনকোট’ গল্পে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।

৪.            নুরুল হুদা কেন চারবার বাড়ি পাল্টায়?

                উত্তর : নুরুল হুদার সাথে মুক্তিবাহিনীর আঁতাত রয়েছে একথা গোপন রাখার জন্য নুরুল হুদা চারবার বাড়ি পাল্টায়।

                নুরুল হুদার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে  খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ খবরটি কেউ যদি হানাদার বাহিনীকে জানিয়ে দেয় এ ভয়ে সে চারবার বাড়ি পাল্টায়। যাতে আশপাশের কেউ তাকে চিনতে না পারে।

৫.            ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

                উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করায় ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে গিয়েছিল।

                ইসহাক মিয়া ছিল পাকিস্তানিদের দোসর। সে অবাধে চলাফেরা করত এবং সব সময় উর্দুতে কথা বলত। আর পাকিস্তানিদের দোসর হওয়ায় সবাই তাকে খুব ভয় পেত।

৬.           প্রিন্সিপাল কেন দিন-রাত দোয়া-দরুদ পড়তো?

                উত্তর : প্রিন্সিপাল পাকিস্তানিদের জন্য দিনরাত দোয়া দরুদ পড়ত।

                পাকিস্তানিদের জন্য প্রিন্সিপাল পাাকিস্তানিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সে সবসময় তাদের মঙ্গল কামনা করত। আর তাদের জয়ের জন্য দিনরাত দোয়া-দরুদ পড়ত।

৭.            নুরুল হুদা কেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন?

                উত্তর : মিলিটারিদের ভয়ে নুরুল হুদা পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন।

                ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশবাসীর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে নিরুপায় মানুষগুলো নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল। আর তাই নুরুল হুদা রাতভর ট্যাংকের হুঙ্কার, মেশিনগান আর স্টেনগানের প্রচণ্ড শব্দে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন। আতঙ্কিত হয়ে, জীবন রক্ষার জন্য।

৮.           ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নুরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান কেন?

                উত্তর : ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নুরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা  খেয়ে যান, কারণ তাকে দেখতে অনেকটা মিন্টুর মতো লাগছিল।

                মিন্টু ছিল মুক্তিযোদ্ধা। তাই নুরুল হুদাকে যদি দেখতে তার মতো লাগে তাহলে সে খুব বিপদে পড়বে।  তাই ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে যখন সে দেখে তাকে নিজেকে মিন্টুর মতো দেখতে লাগে, তখনই নূরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান।