টেক্সট বুক অ্যানালাইসিস
ক জ্ঞানমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর
১. ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের নাম কী?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের নাম অনুপম।
২. ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের বয়স কত?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের গল্পকথকের বয়স সাতাশ বছর।
৩. কার সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিতমশায় বিদ্রƒপ করতেন?
উত্তর : অনুপমের সুন্দর চেহারা নিয়ে পণ্ডিতমশায় বিদ্রƒপ করতেন।
৪. পণ্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা কীসের সঙ্গে তুলনা করতেন?
উত্তর : পণ্ডিতমশায় অনুপমের সুন্দর চেহারা শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করতেন।
৫. অনুপমের মা কেমন ঘরের মেয়ে ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের মা গরিব ঘরের মেয়ে ছিলেন।
৬. অনুপমের পিতা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : অনুপমের পিতা পেশায় উকিল ছিলেন।
৭. অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
উত্তর : অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা।
৮. বিয়ে সম্বন্ধে কার একটা বিশেষ মত ছিল?
উত্তর : বিয়ে সম্বন্ধে মামার একটা বিশেষ মত ছিল।
৯. অনুপমের বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ।
১০. হরিশ কোথায় কাজ করে?
উত্তর : হরিশ কানপুরে কাজ করে।
১১. ছুটিতে হরিশ কোথায় এসেছে?
উত্তর : ছুটিতে হরিশ কলকাতায় এসেছে।
১২. হরিশ অনুপমকে কী ধরনের মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল?
উত্তর : হরিশ অনুপমকে খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়েছিল।
১৩. অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম কীসের মরীচিকা দেখছিল?
উত্তর : অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপম নারীরূপের মরীচিকা দেখছিল।
১৪. মেয়ের বয়স পনেরো শুনে কার মন ভার হলো?
উত্তর : মেয়ের বয়স পনেরো শুনে মামার মন ভার হলো।
১৫. মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে কোন দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন?
উত্তর : মামা কলকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন।
১৬. বিশেষ কাজে মামা একবার কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর : বিশেষ কাজে মামা একবার কোন্নগর গিয়েছিলেন।
১৭. এককালে কাদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল?
উত্তর : এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।
১৮. কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হলো?
উত্তর : কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য বিনুদাদাকে পাঠানো হলো।
১৯. বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে কী হন?
উত্তর : বিনুদাদা অনুপমের সম্পর্কে পিস্তুতো ভাই হন।
২০. বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপরে অনুপম কতটুকু নির্ভর করতে পারেন?
উত্তর : বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপর গল্পকথক ষোলো আনা নির্ভর করতে পারেন।
২১. গল্পকথকের মতে কার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বিনুদাদার ভাষাটা অত্যন্ত আঁট।
২২. বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কোথায় আসতে হলো?
উত্তর : বিয়ে উপলক্ষে কন্যাপক্ষকে কলকাতায় আসতে হলো।
২৩. কার চেহারা চোখে পড়বার মতো ?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর চেহারা চোখে পড়বার মতো।
২৪. গল্পকথকের মতে বেহাই সম্প্রদায়ের কী থাকাটা দোষের?
উত্তর : গল্পকথকের মতে বেহাই সম্প্রদায়ের তেজ থাকাটা দোষের।
২৫. শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর স্মিতহাস্য বন্ধুটি পেশায় ছিলেন উকিল।
২৬. শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো কোন আমলের ছিল?
উত্তর : শম্ভুনাথ বাবুর মেয়ের গহনাগুলো তাঁর পিতামহীদের আমলের ছিল।
২৭. মামা অনুপমকে কোথায় গিয়ে বসতে বললেন?
উত্তর : মামা অনুপমকে সভায় গিয়ে বসতে বললেন।
২৮. বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু কাকে খেতে বললেন?
উত্তর : বরযাত্রীদের খাওয়া শেষ হলে শম্ভুনাথ বাবু অনুপমকে খেতে বললেন।
২৯. কার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব?
উত্তর : মামার বিরুদ্ধে চলা অনুপমের পক্ষে অসম্ভব।
৩০. কল্যাণীকে কার ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল?
উত্তর : কল্যাণীকে অনুপমের ফটোগ্রাফ দেখানো হয়েছিল।
৩১. অনুপমের মতে, তার ছবিটি কীসের মধ্যে লুকানো আছে?
উত্তর : অনুপমের মতে, তার ছবিটি একটি বাক্সের মধ্যে লুকানো আছে।
৩২. কে বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে?
উত্তর : কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে।
৩৩. মাকে নিয়ে অনুপম কোথায় চলছিল?
উত্তর : মাকে নিয়ে অনুপম তীর্থে চলছিল।
৩৪. তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার কার উপর ছিল?
উত্তর : তীর্থে যাওয়ার সময় মায়ের ভার ছিল অনুপমের উপর।
৩৫. শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কী?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেনের মেয়ের নাম কল্যাণী।
৩৬. কার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
উত্তর : মামার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কানপুরে এসেছে?
৩৭. বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
উত্তর : বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করেছে।
৩৮. কে লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না?
উত্তর : মামা লজ্জায় অনুপমের বিয়ের কথা তুলতে পারেন না।
খ অনুধাবনমূলক আরও কিছু প্রশ্নোত্তর
১. শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছেন কেন?
উত্তর : দেশে বংশমর্যাদা রেখে চলা সহজ নয় বলে শম্ভুনাথ সেন পশ্চিমে গিয়ে বাস করছেন।
এককালে শম্ভুনাথ সেনদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল। টাকা-পয়সার কোনো অভাব ছিল না তাদের। কিন্তু বর্তমানে তেমন কিছু নেই বললেই চলে। আর সামান্য যা বাকি আছে তা দিয়ে বংশমর্যাদা রেখে চলা সহজ নয় বলে তিনি পশ্চিমে চলে গিয়েছেন।
২. মামা কেন হরিশকে পেলে ছাড়তে চান না?
উত্তর : হরিশ আসর জমাতে অদ্বিতীয় হওয়ার কারণে মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
হরিশকে সবাই খুব খাতির করে। কেননা তার সরস রসনার গুণ সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়। মামাও তাকে খুব খাতির করেন। মূলত তার আসর জমানোর গুণের কারণেই মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
৩. মামা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না কেন?
উত্তর : বিয়ে বাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এবং সমস্ত আয়োজন নিতান্ত মধ্যম রকমের হওয়ায় মামা বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না। শম্ভুনাথ সেনের এককালে প্রচুর ধন-সম্পদ থাকলেও বর্তমানে তাঁর তেমন কিছুই নেই। তাই শম্ভুনাথ সেনের আয়োজনে কোনো আড়ম্বর ছিল না। সমস্ত আয়োজন ছিল মধ্যম রকমের। আর বিয়ে বাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গাও সংকুলান হচ্ছিল না। এসব কারণে মামা বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে খুশি হলেন না।
৪. অনুপমের বিয়েতে মামা কেন স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেনের মুখের কথার উপর নির্ভর করতে পারেননি বলে মামা অনুপমের বিয়েতে স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন।
মামার উদ্দেশ্য ছিল, তিনি কোনোভাবেই কারও কাছে ঠকবেন না। তাই বিয়েতে আগেই পণের কথা পাকাপাকি করে ফেলেছিলেন। কিন্তু বাড়িভাড়া, লোক-বিদায় প্রভৃতি বিষয়ে শম্ভুনাথ সেনের টানাটানির পরিচয় পাওয়ায় মামা তাঁর উপর আর বিশ্বাস রাখতে পারেননি। তাই তিনি স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন।
৫. শম্ভুনাথ বাবু কেন মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে আনলেন?
উত্তর : বরপক্ষ মেয়ের গহনা যাচাই করে দেখতে চেয়েছিল বলে শম্ভুনাথ বাবু মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে আনলেন।
গল্পকথকের মামা শম্ভুনাথ সেনের মুখের কথার উপর নির্ভর করতে পারেননি বলে স্যাকরাকে সঙ্গে করে এনেছিলেন। আর মামা শম্ভুনাথ সেনকে জানালেন যে, তিনি সমস্ত গহনা যাচাই করে দেখতে চান। শম্ভুনাথ এ ব্যাপারে বরের মতামত জানতে চান। কিন্তু বর এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকে। এরপর শম্ভুনাথ বাবু মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে নিয়ে আসেন।
৬. মামার মুখ লাল হয়ে উঠল কেন?
উত্তর : নিজের ফাঁকি ধরা পড়ায় লজ্জায় মামার মুখ লাল হয়ে উঠল।
মামা স্যাকরাকে সঙ্গে এনেছিলেন মূলত মেয়ের বাবাকে অপমান করার জন্য। কিন্তু মেয়ের গহনায় কোনো খাদ না থাকায় এবং গহনা সংখ্যা ওজনে দাবির তুলনায় বেশি হওয়ায় মামা বিপাকে পড়লেন। অন্যরদিকে, বরপক্ষের দেয়া এয়ারিংয়ে সোনার ভাগ সামান্য থাকায় এবং মেয়ের বাবা সেটি ফেরত দেয়ায় মামা রাগে ও লজ্জায় লাল হয়ে উঠলেন।
৭. ‘তবে আপনাদের গাড়ি বলিয়া দিই’?- উক্তিটি শম্ভুনাথ কেন করেছিলেন?
উত্তর : মেয়েকে অনুপমের সাথে বিয়ে দেবেন না বলে শম্ভুনাথ সেন প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিলেন।
বরপক্ষ মেয়ের গহনা যাচাই করতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব অপমানিতবোধ করেন। আর এ ব্যাপারে বর নিশ্চুপ থাকায় তিনি খুব অবাক হয়ে যান। আর মনে মনে ঠিক করে ফেলেন যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করেন না, তাদের হাতে মেয়ে তুলে দেবেন না। তাই বরপক্ষের খাওয়া শেষ হলে তিনি তাদেরকে বিদায় দেয়া প্রসঙ্গে উক্তিটি করেন।
৮. শম্ভুনাথ সেন কেন অনুপমকে একটি কথা বলারও আবশ্যক বোধ করলেন না?
উত্তর : অনুপম তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নয়, এটা প্রমাণিত হওয়ায় শম্ভুনাথ সেন তাকে একটি কথা বলারও আবশ্যক বোধ করলেন না।
মেয়ের গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে শম্ভুনাথ সেন অনুপমের মতামত জানতে চাইলে সে কোনো মতামত দিতে পারে না। অনুপমকে শম্ভুনাথ সেন খেতে বললেও মামার আদেশ অমান্য করে সে খেতে পারে না। এসব কারণে শম্ভুনাথ বাবু বুঝতে পারেন অনুপম তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নয়। তাই পরে শম্ভুনাথ সেন অনুপমকে একটি কথা বলারও আবশ্যক বোধ করেননি।
৯. মা কেন অনুপমকে ছাড়তে পারেননি?
উত্তর : নিতান্ত এক ছেলে বলে মা অনুপমকে ছাড়তে পারেননি। অনুপম যখন খুব ছোট তখন তার বাবা মারা যান। সে তার মায়ের হাতেই মানুষ। বড় হয়ে অনুপম কল্যাণীর প্রেমে পড়লে সে মায়ের আজ্ঞাকে অবহেলা করে কল্যাণীর সাথে দেখা করতে কানপুরে যায়। এসব কিছু তার মা পছন্দ না করলেও তাকে ছাড়তে পারেন না। কেননা অনুপম তাঁর একমাত্র সন্তান।
১০. মামার নিষেধ অমান্য করে অনুপম কেন কানপুরে এসেছে?
উত্তর : কল্যাণী এবং কল্যাণীর বাবার সাথে দেখা করার জন্য অনুপম মামার নিষেধ অমান্য করে কানপুরে এসেছে।
কল্যাণীর সাথে অনুপমের বিয়ে ভেঙে গেলেও অনুপম তাকে ভুলতে পারেনি। অনুপমের কল্পনার জগতের সর্বত্র বিরাজ করে কল্যাণী। কল্যাণীর রূপ-যৌবন এমনকি তার মুখের ভাষাও অনুপমের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাই সে তার সাথে দেখা করার জন্য কানপুরে যেতে চায়। এ ব্যাপারে তার মামা নিষেধ করলেও সে তা অগ্রাহ্য করে।
১১. ধনীর মেয়ে মামার পছন্দ নয় কেন?
উত্তর : মামার ধারণা, গরিবের মেয়ে ঘরে আসলে মাথা হেঁট করে আসবে তাই তাঁর ধনীর মেয়ে পছন্দ নয়।
বিয়ে সম্বন্ধে মামার একটা বিশেষ মত ছিল। বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি ধনীর মেয়ে পছন্দ করতেন না। কেননা তাঁর ধারণা, গরিবের মেয়ে ঘরে আসলে মাথা হেঁট করে আসবে আর তিনি এটাই চান। আর ধনীর মেয়ে আসলে তা করবে না। তাই তিনি ধনীর মেয়ে পছন্দ করতেন না।
১২. হরিশ কীভাবে অনুপমের মন উতলা করে দিল?
উত্তর : একটি খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়ে হরিশ অনুপমের মন উতলা করে দিল।
হরিশ কানপুরে কাজ করে। ছুটিতে সে কলকাতা এসেছে। এদিকে অনুপমেরও পড়ালেখা শেষ। তার তেমন কোনো কাজ নেই। এমন অবকাশের সময় হরিশ একটি খাসা মেয়ের সন্ধান দিয়ে অনুপমের মন উতলা করে দিল।
১৩. অনুপমকে কেন সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না?
উত্তর : সংসারের সব দায়িত্ব মামা পালন করতেন বলে অনুপমকে সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না।
অনুপমের বাবা ছিলেন না। সংসারে ছিলেন মা আর মামা। তবে সব দায়িত্ব ছিল মামার হাতে। সব খুঁটিনাটি বিষয়ে মামা খেয়াল রাখতেন। তাই অনুপমকে সংসারের কোনো কিছুর জন্য ভাবতে হতো না।
১৪. মামার মন কীভাবে নরম হয়েছিল?
উত্তর : হরিশের সরস রসনার গুণে মামার মন নরম হয়েছিল।
অনুপমের পরিবারের সর্বময় কর্তা ছিলেন মামা। তাই অনুপমের বিয়ের ব্যাপারে মামার মতামত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর মামাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল রসিক হরিশের উপর। আর হরিশের সরস রসনার গুণে সহজেই মামার মন নরম হয়েছিল।
১৫. অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটি নির্বিঘেœ সমাধান হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মামার মন নরম হওয়াতে অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটি নির্বিঘেœ সমাধান হয়েছিল।
অনুপমের বন্ধু হরিশ ছিলেন রসিক প্রকৃতির। আর এ জন্যই মামা তাঁকে পছন্দ করতেন। আর অনুপমের বিয়ের ব্যাপারে মামাকে রাজি করানোর দায়িত্ব ছিল হরিশের উপর। হরিশের সরস রসনার গুণে মামার মন নরম হয়েছিল। আর এ কারণেই অনুপমের বিয়ের ভূমিকা অংশটি নির্বিঘেœ সমাধান হয়েছিল।
১৬. অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি কেন?
উত্তর : সাহসের অভাবে অনুপম নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি।
অনুপমের প্রকৃত অভিভাবক ছিলেন মামা। মা ও মামার কথার বাইরে সে নিজ থেকে কোনো কথা বলতে পারত না। কারণ অনুপম ছোটবেলা থেকে এমনভাবে বড় হয়েছে যে, নিজের কোনো মতামত বা ইচ্ছা পোষণের সাহস ছিল না। তাই বিয়ের সময়ও সে নিজ চোখে মেয়ে দেখার প্রস্তাব করতে পারেনি।
১৭. মামা কেন শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন?
উত্তর : যৌতুকের গহনাগুলো যাচাই করে দেখার কথা বলার জন্য মামা শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
মামা ছিলেন চতুর প্রকৃতির লোক। তাঁর জীবনের সংকল্প ছিল জীবনে কারো কাছে ঠকবেন না। শম্ভুনাথ সেন গহনা কম দিয়ে বা খাদযুক্ত গহনা দিয়ে তাঁকে ঠকাতে পারেন। এরূপ ভাবনা থেকেই তিনি গহনাগুলো যাচাই করে দেখতে চান। আর এজন্যই শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
১৮. শম্ভুনাথ বাবু কেন অনুপমকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন?
উত্তর : মেয়ের গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে অনুপমের মতামত জানার জন্য শম্ভুনাথ বাবু তাকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তাই মামা গহনা যাচাইয়ের কথা বললে তিনি খুব কষ্ট পান। তিনি ভেবেছিলেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত অনুপমও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ এবং সে গহনা যাচাইয়ের ব্যাপারে নেতিবাচক মতামত পোষণ করবে। এরূপ ভাবনা থেকেই তিনি অনুপমকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন।
১৯. মামা কেন অবাক হয়ে গেলেন?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেন মেয়েকে পাত্রস্থ করতে না চাওয়ায় মামা অবাক হয়ে গেলেন।
মামা কনের গহনা যাচাই করে দেখতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব কষ্ট পান এবং তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আর বরও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। তাই তিনি মামাকে গহনা যাচাই করে দেখান এবং বলেন যে সম্পর্কটা স্থায়ী করার ইচ্ছা নেই। আর এ কথা শুনে মামা অবাক হয়ে যান।
২০. অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কল্যাণী বিয়ে না করার পণ করেছে এ কথা শুনে অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যায়।
অনুপম কল্যাণীর বিয়ে না হলেও তারা কেউ কাউকে ভুলতে পারেনি। অনুপম সবসময় প্রত্যাশা করত কল্যাণী তার কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু মনে মনে কল্যাণী অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার শঙ্কায় শঙ্কিত থাকত। কিন্তু যখন শুনতে পেল যে, কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে, তখন তার মন পুলকের আবেশে ভরে যায়।
২১. বরযাত্রীদের কপাল চাপড়ানোর কারণ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : কনের বাপ বরযাত্রীদের ফাঁকি দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। এজন্য তারা কপাল চাপড়াতে থাকে।
মামার অনৈতিক প্রস্তাবে শম্ভুনাথ সেন স্থির করেন মেয়েকে অনুপমের সাথে বিয়ে দেবেন না। কিন্তু বরযাত্রীদের বিষয়টা বুঝতে দেন না। তিনি তাদের সসম্মানে খাইয়ে দেন এবং তারপর বিদায় করে দেন। আর এজন্যই বরযাত্রীরা কপাল চাপড়াতে থাকে।
২২. শেষ পর্যন্ত গল্পকথকের বয়স পুরোপুরি হলো না কেন?
উত্তর : গল্পকথক শিশুকালে কোলে কোলেই মানুষ হয়েছে বলে শেষ পর্যন্ত তার বয়স পুরোপুরি হলো না।
গল্পকথক তার মায়ের একমাত্র সন্তান। তাই সে খুব আদর-যতেœ মানুষ হয়েছিল। আর মামার কারণে তার সংসারের কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে হতো না। সবকিছু মিলিয়ে মানসিক দিক দিয়ে অপরিপক্ব থেকে যায়।
২৩. শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় কীভাবে গলেছিল?
উত্তর : অনুপম মাথা হেঁট করে হাত জোড় করায় শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলেছিল।
শম্ভুনাথ সেন মামার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কল্যাণীকে বিয়ে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি কঠিন হৃদয়ের মানুষ। কিন্তু এক পর্যায়ে অনুপম যখন কল্যাণীকে ফিরে পাওয়ার আশায় তাঁর কাছে মাথা হেঁট করে, হাত জোড় করে, তখন তাঁর হৃদয় গলে যায়।